SAIFUL MUNNA - Bangla Summary, Handnotes

নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে | How to make E-passport | Saiful Munna.

How to make E-passport, E Passport BD, E passport Bangladesh, নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে, দালাল ছাড়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে, ই পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে, Saiful Munna.

 

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট করা একোরেই সহজ। দালাল ধরে বা ট্রাভেলস ধরে পাসপোর্ট না করে নিজে নিজেই পাসপোর্ট করতে পারেন। নরমাল ডেলিভারিতে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। কিছু কিছু সময় একটু দেরি হতে পারে। তবে তা বেশি নয়। আসুন জেনে নেই নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে, দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করবেন যেভাবে, ই পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে

 

নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে | How to make E-passport | Saiful Munna, e passport bd
নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে | How to make E-passport


 নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে: ধাপ ১ - এপ্লিকেশন।

 প্রথমেই আপনাকে পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এপ্লিকেশন করতে হবে। এজন্য এই লিংকে (https://www.epassport.gov.bd/onboarding) গিয়ে যা যা তথ্য দরকার তা দিয়ে আবেদন করবেন। বানানগুলো ভাল করে দেখবেন। এনআইডি, সার্টিফিকেট সব কিছুতে নাম ঠিকানা ঠিক থাকলে আবেদন করবেন। না হয় আগে ভুল ঠিক করে নিবেন, যাতে সব ডকুমেন্ট এ সমান বানান থাকে। এটাতে কিছু ভুল হলে তা-ই পাসপোর্টে আসবে। এটা মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। ফরম ফিলাপ করতে অসুবিধা হলে ইউটিউব দেখে দেখে করতে পারেন। অসংখ্য ভিডিও আছে ইউটিউবে। ফরম পূরণ শেষ হলে ৪টা পেজ প্রিন্ট করতে হবে। মোবাইলে করলে সাবমিটের পর পেজগুলো ডাউনলোড করে নিয়ে প্রিন্ট করতে হবে।

এপ্লিকেশনে ভুল হলে পাসপোর্ট অফিসের কম্পিউটার রুমে প্রিন্ট করা ফরম নিয়ে গিয়ে তা ক্যানসেল করে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।

 

 How to make E-passport: ধাপ ২ - ব্যাংকে ফি জমা দেয়া।

যে কোনো ব্যাংকে গিয়ে বলবেন, পাসপোর্টের ফি দেব। তারাই ফরম দিবে, পূরণ করে টাকা জমা দিবেন। একটা রিসিট তারা আপনাকে দিবে। ৫টি ব্যাংক ছাড়াও এখন বেশিরভাগ ব্যাংক ই পাসপোর্টের টাকা জমা নেয়। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এটা অনেকে জানতে চায়। দালাল/ট্রাভেলস সরকারী ফি এর প্রায় দ্বিগুণ টাকা নেয়। নিজে নিজে করতে শুধু সরকারী ফি টাই দিবেন। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা নিচে দেয়া হল:


e-Passport 48 পৃষ্ঠা - 5 বছর মেয়াদ - ফি:

  • Regular delivery: (২১ দিনে পাবেন) TK 4,025
  • Express delivery: (আর্জেন্ট - ১০ দিনে পাবেন) TK 6,325
  • Super Express delivery: (বেশি আর্জেন্ট ২ দিনে পাবেন) TK 8,625

 

e-Passport 48 পৃষ্ঠা - 10 বছর মেয়াদ - ফি:

  • Regular delivery: (২১ দিনে পাবেন)  TK 5,750
  • Express delivery: (আর্জেন্ট - ১০ দিনে পাবেন) TK 8,050
  • Super Express delivery: (বেশি আর্জেন্ট ২ দিনে পাবেন) TK 10,350

 

e-Passport 64 পৃষ্ঠা - মেয়াদ ৫ বছর - ফি:

  • Regular delivery: (২১ দিনে পাবেন) TK 6,325
  • Express delivery: (আর্জেন্ট - ১০ দিনে পাবেন) TK 8,625
  • Super Express delivery: (বেশি আর্জেন্ট ২ দিনে পাবেন) TK 12,075

 

e-Passport 64 পৃষ্ঠা - মেয়াদ ১০ বছর - ফি:

  • Regular delivery: (২১ দিনে পাবেন) TK 8,050
  • Express delivery: (আর্জেন্ট - ১০ দিনে পাবেন) TK 10,350
  • Super Express delivery: (বেশি আর্জেন্ট ২ দিনে পাবেন) TK 13,800

বি:দ্র: আগের মত এখন মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় না। ই-পাসপোর্ট নির্দিষ্ট সময়েই চলে আসে। একটু আগপিছ হতে পারে।

 

 পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে: ধাপ ৩ - ডকুমেন্ট ঠিক করা।

এখন আপনার ই পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে তা ঠিকঠাক করার পালা। ই পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে তা হল:

১. প্রিন্ট করা  এপ্লিকেশন ফরম ( আবেদনের সময় যেটা পাবেন)।

২. ব্যাংকের রিসিট।

৩. এনআইডির ফটোকপি।

৪. নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি (চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট)।

৫. সার্টিফিকেটের ফটোকপি ( থাকলে)।

৫. আপনার পেশা সম্পর্কিত ডকুমেন্ট ( আবেদনের সময় যে পেশা দিবেন)।

৬. পেশা স্টুডেন্ট দিলে - সার্টিফিকেটের কপি এবং কলেজের স্টুডেন্ট আইডির কপি দিতে হবে। কলেজ আইডি না থাকলে প্রত্যয়ণপত্রের সত্যায়িত কপি দিতে হবে।


তাছাড়া, কোনকিছু সত্যায়িত করা লাগবে না।

 

 দালাল ছাড়া পাসপোর্ট: ধাপ ৪ - পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া।

সব ডকুমেন্ট একসাথে করে স্টেপলার করবেন। সাবমিট কপি উপরে রেখে তার উপরে গম দিয়ে ব্যাংকের রিসিট লাগাবেন। তারপর পাসপোর্ট অফিসে যাবেন জমা দিতে। যত সকাল পারেন উপস্থিত হবেন,কারণ পাসপোর্ট অফিসে সকাল থেকেই অনেক লম্বা লাইন তৈরি হয়। কিছু কিছু পাসপোর্ট অফিসে আবেদনের সময় জমা দেয়ার তারিখ সিলেক্ট করতে হয়। সিলেক্ট করলে সেই তারিখে যাবেন। আর যে যে জেলায় তারিখ সিলেক্ট করা লাগে না, সেখানে যে কোনো দিনই নিয়ে যেতে পারেন, যেমন: সিলেট পাসপোর্ট অফিস।

 

পাসপোর্ট অফিসে গিয়েই জমা দেয়ার লাইনে দাঁড়াবেন। জমা রাখলে বুঝবেন আপনার সব হয়ে গেছে। তারপর রোহিঙ্গা টেস্ট এর লাইনে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা টেস্ট দিবেন। তারপর ছবি তোলার নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে ছবি তোলে, ফিঙ্গার দিয়ে রিসিট নিয়ে বাসায় চলে আসবেন।

 

 নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে: ধাপ ৫ - পুলিশ ভেরিফিকেশন।

জমা দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ফোন দিবে। থানায় গিয়ে বা বিকাশে (যেভাবে সে বলে) তাকে কিছু টাকা দিতে হবে। যদিও পুলিশকে টাকা দেয়ার আইনত কোনো বৈধতা নেই। অনেক পুলিশ আছে কোনো টাকা নিবে না আপনার কাছ থেকে।

তারপর বসে থাকবেন কখন পাসপোর্ট নিয়ে আসার মেসেজ আসে আপনার মোবইলে। আপনি পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এই লিঙ্ক (https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status) থেকে আপনার পাসপোর্ট কোন জায়গায় আছে চেক করতে পারবেন।

 

 নিজে নিজে ই পাসপোর্ট করবেন যেভাবে: ধাপ ৬- পাসপোর্ট সংগ্রহ।

মোবাইলে পাসপোর্ট সংগ্রহের মেসেজ আসলে তারপর যে কোন দিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন। আগের মত সকাল সকাল যাবেন , লাইনে দাঁড়িয়ে ফিঙ্গার দিয়েই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত পাসপোর্ট।

 _______________

নোট - কিছু পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি খুব বেশি। দালাল ছাড়া নিজে বৈধ উপায়ে পাসপোর্ট করলে এটা সেটা সমস্যা বলে কাগজ জমা রাখে না। দালাল/ট্রাভেলস দিয়ে করলে কোনকিছু না বলেই জমা রাখে। সেরকম পরিস্থিতিতে পড়লে যা যা চায় সব তাকে দিবেন। যতবার বলে ততবার যাবেন। দরকার হলে পাসপোর্ট অফিসের অভিযোগ রুমে গিয়ে অভিযোগ দিবেন। দেশটা আমাদের, দুর্নীতিবাজদের নয়

একান্ত না পারলে কোন ট্রাভেলস/দালালদের দিয়ে এপ্রুভ করিয়ে নিবেন। তাদের টাকা দিলে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে দিবে। পরে জমা দিলেই নিয়ে নিবে।


** লিখাটি আপনার কাজে লাগলে নিচে কমেন্ট করে যাবেন। ধন্যবাদ।

দুর্নীতি দূর হোক। সোনার দেশ দালালমুক্ত হোক। এই কামনা।

 

Written by

- Saiful Munna.


Comment Here:

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post