গোধূলির স্নাতকীরা
সাইফুল মুন্না।
সাইফুল মুন্না।
[১ম সেশনের(৪র্থ বর্ষ) ভাইবোনদের বিদায়কে স্মরণ করে]
--------------
★চৈত্রের গোধূলী
স্নাত আঁখিতে তাকাচ্ছে,
স্নাতকীদের হেঁটে চলা ফিরে তাকানো
পথের দিকে।
★জীবন নদীর পশ্চিম কোণে
ওঁদের চলন্ত পায়ের ধ্বনি শুনে
কেউ হাঁক দিচ্ছে : ওহে ভাতৃভগ্নিগন,
কার স্পন্দনহীন কণ্ঠ শুনা গেল
"মার্জান"।
আর শোকমিশ্রিত ঐকতান, "রওশন"
পাশে নুয়ে থাকা বৃক্ষশাখা
ডাক দিচ্ছে " শিরিন"।
★তার প্রতিটি প্রশাখা স্তব করছে "হামিদা"
আর পুষ্পকড়ি সুবাসে স্মরণ করছে "সাদিকা"
সব পত্রপল্লব মুখরিত হচ্ছে একটি শব্দে "আবিদা",
উদ্ভিদচূড়ার ঝূলন্ত পাতাটিতে আঁকা "খাদিজা"
নিচে বসা ক্লান্ত-শ্রান্ত পথিকের নিশ্বাসে শুনা যাচ্ছে "শাহিদা"।
তার পরিশ্রান্ত হৃদয়ের কম্পনে বাজছে "জুবেদা",
কল্পবাস্তবে জাগ্রত চিন্তনশক্তিতে জ্বলজ্বল করছে "সাজেদা"।
★বয়ে চলা স্রোতস্বিনীর
কলকল শব্দে ধুয়া উঠছে " নুহা"
নীলাভ জল আরও নীল হয়ে উঠছে
তিনটি বর্ণে " নাদিয়া"
তার অভ্যন্তরে মৎস্যরা মিছিল তুলছে "তানিয়া"
পাঞ্জেরীর অগ্রভাগে চিত্রিত হচ্ছে " সামিয়া"।
ছলছল বারিতে বারবার শব্দ হচ্ছে "সুমাইয়া"
পথ ফুড়াবার আভাস পেয়ে প্রকৃতি মাতম করছে " রাবেয়া"
চারপাশ স্তব্ধ হয়ে ডাকছে "ফওজিয়া"।
★অন্ধকার আকাশ পানে চেয়ে থাকা জ্যোতিষী
বারবার অবাক হচ্ছে এক শ্বেতরেখা দেখে,
সে রেখায় অঙ্কিত চিত্র "আমান"
ছিটকে পড়া উল্কাগুলোর গায়ে লিখা "সাজিদুর রহমান"।
আর হ্যালির ধুমকেতু বারবার উদিত হয়ে ডাকছে " তাহেরা"
গ্রহানুরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই বলে "জুমায়রা"।
★বৃষ্টি এসে "দৃষ্টি " শীতল করে দিচ্ছে
"শিলারাও তার সাথে বান ডেকেছে,
"জুঁই" পুষ্প সব সুবাস উতলে তার সমর্থন জানান দিচ্ছে,
"জবা" তার রুপ দিয়ে সব মোহিত করে তুলছে।
নীল গগণ "নিলু" নামে আত্বপ্রকাশ করছে,
★বিহঙ্গকুল সমীরণের সাথে গান গাইছে,
সমীরে সুর ভেসে আসছে "জাবেদ"
উড়ন্ত গাঙচিল কণ্ঠ করেছে "সাহেদ"।
ঘুঘুরা উঁহু উঁহু ছেড়ে বলছে " এমি"
পাপিয়ার মাধুরিমাখা স্বরে যুক্ত হয়েছে "সুমি",
কোকিলের কুহু কুহু কণ্ঠের সুর বদলেছে, "জুমি"।
★শৈত্যের কুয়াশাঘেরা প্রভাত দেখছে
শিশিরভেজা হরিষ ক্ষেতে জ্বলজ্বল করা
একটি হীরক "জামিলা"
আর নয়টি মুক্তা," শংকর,মনরিত,রুনা,
বিলকিছ,শামিমা,তানজিনা,
মনজুরুল"।
★আর এসব প্রত্যক্ষ করে কবিতাবদ্ধ করার
প্রয়াস ছিল যে কলমের,
তার উপরে লিখা "সাইফুল"।